‚মিকাঃ কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ . কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) এ কর্মরত সকল মানব সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা এবং যেকোন শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের প্রতি কোন ধরণের অন্যায়, অবিচার বা অমানবিক আচরণ যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে অত্র নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
১। অসদাচরণ:
কর্তৃপক্ষ নিম্নলিখিত কাজগুলো অসদাচরণ হিসাবে গন্য করবে:
ক) উপরস্থের কোন আইনসংগত বা যুক্তিসংগত আদেশ মানার ক্ষেত্রে এককভাবে বা অন্যের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা;
খ) মালিকের ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি, আত্মসাৎ, প্রতারণা বা অসাধুতা;
গ) মালিকের অধীন তাহার বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ গ্রহণ বা প্রদান;
ঘ) বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি অথবা ছুটি না নিয়া এক সঙ্গে দশ দিনের অধিক সময় অনুপস্থিতি;
ঙ) অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি;
চ) প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লঙ্ঘন;
ছ) প্রতিষ্ঠানে উচ্ছৃংখলতা, দাংগা- হাংগামা, অগ্নিসংযোগ বা ভাংচুর;
জ) কাজে-কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি;
ঝ) প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত চাকুরী সংক্রান্ত, শৃঙ্খলা বা আচরণসহ, যে কোন বিধির অভ্যাসগত লঙ্ঘন;
ঞ) মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, অন্যায় পরিবর্তন, উহার ক্ষতিকরণ বা উহা হারাইয়া ফেলা।
২। অসদাচরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কোন শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্তের পরিবর্তে, বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, নিন্মোক্ত যে কোন শাস্তি প্রদান করা যেতে পারে:
ক) অপসারণ;
খ) নীচের পদে, গ্রেডে বা বেতন স্কেলে অনধিক এক বৎসর পর্যন্ত আনয়ন;
গ) অনধিক এক বৎসরের জন্য পদোন্নতি বন্ধ;
ঘ) অনধিক এক বৎসরের জন্য মজুরী বৃদ্ধি বন্ধ;
ঙ) জরিমানা;
চ) অনধিক সাত দিন পর্যন্ত বিনা মজুরীতে বা বিনা খোরাকীতে সাময়িক বরখাস্ত;
ছ) ভৎর্সনা ও সতর্কীকরণ।
৩। বরখাস্তকৃত কোন শ্রমিক, যদি তার অবিচ্ছিন্ন চাকুরীর মেয়াদ অন্যুন এক বৎসর হয়, মালিক ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্যেক সম্পূর্ণ চাকুরী বৎসরের জন্য চৌদ্দ দিনের মজুরী প্রদান করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, কোন শ্রমিক চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি কোন ক্ষতিপূরণ পাবেন না।
৪। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা পদ্ধতি:
১। কোন শ্রমিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে না, যদি না-
ক) তার বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখিতভাবে করা হয়;
খ) অভিযোগের একটি কপি তাকে দেয়া হয় এবং এর জবাব দেয়ার জন্য অন্তত সাত দিন সময় দেয়া হয়;
গ) তাকে শুনানীর সুযোগ দেয়া হয়;
ঘ) তদন্তের পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়;
ঙ) মালিক বা ব্যবস্থাপক বরখাস্তের আদেশ অনুমোদন করেন।
২। কোন তদন্তে অভিযুক্ত শ্রমিককে, প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত এবং তৎকর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি সাহায্য করতে পারবেন।
৩। যদি তদন্তে কোন পক্ষ মৌখিক সাক্ষ্য প্রদান করেন, তবে যার বিরুদ্ধে এই সাক্ষ্য প্রদান করা হচ্ছে তিনি সাক্ষীকে জেরা করতে পাবেন।
৪। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চলাকালীন সময় শ্রমিক গড় মাসিক মজুরীর অর্ধেক হারে খোরাকী ভাতা পাবেন।
৫। যদি তদন্তে কোন শ্রমিকের অপরাধ প্রমাণিত না হয়, তাহলে তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে কর্মরত ছিলেন বলে গণ্য হবেন এবং উক্ত সময়ের জন্য তার খোরাকী ভাতা সমন্বয়সহ, মজুরী প্রদেয় হবে।
৬। শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে, শাস্তির আদেশের একটি কপি সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে অবশ্যই প্রদান করতে হবে।
৭। যদি কোন শ্রমিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রেরিত কোন নোটিশ, চিঠি, অভিযোগনামা, আদেশ বা অন্য কোন কাগজপত্র গ্রহন করতে অস্বীকার করেন, তাহলে তা তাকে প্রদান করা হয়েছে বলে গণ্য হবে। তবে এ ক্ষেত্রে উক্ত নোটিশ বা চিঠি বা অভিযোগনামা বা আদেশ এর একটি কপি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শিত হবে এবং আরেকটি কপি উক্ত শ্রমিকের ঠিকানায় রেজিঃ ডাকযোগে প্রেরণ করতে হবে।